চরম চাপে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। কারণ, তাঁর ঘনিষ্ঠ এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুন্ডামির অভিযোগ রয়েছে। আর, সেই অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ওই মন্ত্রীকে সুনাকের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ পর্যন্ত করতে হয়েছে। স্যার গ্যাভিন উইলিয়ামসন, তাঁর কোনও দফতর ছিল না। কিন্তু, তারপরও তাঁকে মন্ত্রী রেখেছিলেন সুনাক।
ওই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কনজারভেটিভ পার্টির সহকর্মী এবং অসামরিক কর্মীদের প্রতিও আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছেন। এই প্রসঙ্গে সুনাক জানিয়েছেন যে তিনি 'অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে' উইলিয়ামসনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। 'ব্যক্তিগত সমর্থন ও আনুগত্য'র জন্য তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে উইলিয়ামসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে সুনাক বলেছেন, 'গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে রক্ষণশীল সরকার এবং পার্টির প্রতি আপনার দায়বদ্ধতা অক্ষুণ্ণ রয়েছে।' যদিও বিরোধীরা এই ধন্যবাদ জ্ঞাপনকে সুনাকের 'মন্দ বিচার ও নেতৃত্বের অভাব' হিসেবেই দেখেছেন। এমনকী, লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার আরও চাপ বাড়াতে হাউস অফ কমন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্বে বিষয়টির উত্থাপন করতে চলেছেন বলেই সূত্রের খবর।
সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী উইলিয়ামসনের আচরণ নিয়ে বিতর্ক গত সপ্তাহের শেষ থেকেই শুরু হয়েছে। এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টির বিদায়ী চেয়ারম্যান জেক বেরি নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীকে ২৪ অক্টোবর, সুনাক মন্ত্রিসভায় তাঁর নিয়োগের একদিন আগে উইলিয়ামসনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে জানিয়েওছিলেন।
আরও পড়ুন- গণছাঁটাইয়ের পথে Meta, ১১ হাজার কর্মীকে বাদের ঘোষণা ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের
এই ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে যে নতুন প্রধানমন্ত্রী জানতেন উইলিয়ামসনের নিয়োগের ব্যাপারে মতপার্থক্য আছে। কিন্তু, কেন এই মতপার্থক্য, সেই ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত জানতেন না। তবে, উইলিয়ামসনের নিয়োগ নিয়ে বিরোধীরা সুনাককে চেপে ধরতে মরিয়া। এই ব্যাপারে লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার অ্যাঞ্জেলা রেনার বলেন, 'এটি একজন দুর্বল প্রধানমন্ত্রীর জঘন্য উদাহরণ।'
এই প্রসঙ্গে রেনারের অভিযোগ, 'গ্যাভিন উইলিয়ামসনের আচরণ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানা থাকার পরও সুনাক তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন। বারবার তাঁর প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছিলেন। এটি ঋষি সুনাকের দুর্বল বিচার এবং দুর্বল নেতৃত্বের আরেকটি উদাহরণ। এটা স্পষ্ট যে তিনি একটি ভোটকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য একটি নোংরা ব্যাকরুম চুক্তি করেছিলেন। এখন তার ফাঁদে পড়েছেন। আর, দেশকে দলের ঊর্ধ্বে রাখতে অক্ষম হয়ে পড়েছেন।'
Read full story in English