Omicron Cases: টিকাহীন ব্যক্তিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হল অসমে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পাশাপাশি রাজ্যে চলা তৃতীয় ঢেউকে কাবু করতে নাইট কার্ফুর মেয়াদ বাড়াল অসম সরকার। রাত ১০টা- সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজ্যে কার্যকর থাকবে কার্ফু। এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বশর্মা।
জানা গিয়েছে, ১৫ জানুয়ারি থেকে অসমের কোনও জনবহুল স্থানে ঢুকতে পারবেন না টিকাহীন ব্যক্তিরা। শপিং মল, হোটেল, সরকারি অফিস এবং রেস্তোরাঁ ঢুকতে গেলে দেখাতেই হবে ডবল ডোজের শংসাপত্র। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট স্থানের কর্তারা এই বিধি অমান্য করলে নেওয়া হবে জরিমানা। ১৫ জানুয়ারি থেকে কার্যত কার্ফু টিকাহীন ব্যক্তিদের।‘
তিনি জানান, পয়লা জানুয়ারি থেকে অসমে দ্বিতীয় ঢেউ থাবা বসিয়েছে। তাই এখন সব করোনা সংক্রমণকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হিসেবে ধরা হবে। তবে শুধু আম আদমি নয়, বেসরকারি কর্মীদের হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি কর্মী যারা টিকাপ্রাপক নয়, তাঁরা অফিসে আসবেন না। মানে ঘরে বসে বেতন পাবেন। এমনটা নয়। তাঁদের নো ওয়ার্ক, নো পে হবে।‘
আরও পড়ুন: রাজ্যের করোনা দৌড় অব্যাহত! একদিনে সংক্রমিত ১৮ হাজার পার, কলকাতায় মৃত ৭
আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্র। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের গ্রাফ। তার মধ্যে গোদের উপর বিষফোড়া ওমিক্রন প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত। মূলত বিদেশি যাত্রীদের সঙ্গেই আমদানি হয়েছে এই ভয়ঙ্কর সংক্রামক প্রজাতির। সেই জন্য এবার থেকে বিদেশ থেকে ভারতে এলেই ৭ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে যাত্রীদের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বিমানবন্দরে নামার পর বাধ্যতামূলক আরটি -পিসিআর টেস্ট করতেই হবে সব আন্তর্জাতিক বিমানের যাত্রীদের। তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ৭ দিনের বাধ্য়তামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাঁদের। তারপর ৮ দিনের মাথায় ফের টেস্ট করাতে হবে। নেগেটিভ হলে তখনই কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হবেন যাত্রী।
উল্লেখ্য, ফের একবার দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার লক্ষাধিক। প্রায় সাত মাস পর সংক্রমণের এই রকেট গতিতে বৃদ্ধি আতঙ্ক তীব্র করছে। লাগামহীনভাবে বাড়ছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও। তবে গত দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণে মৃত্যুর হার সামান্য কমেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১০০ জন। যা আগের দিনের থেকে ২৬ হাজার ১৯২ বেশি সংক্রমণ বৃদ্ধির হার গত দিনের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পয়েছে। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাতেও অস্বস্তি বেড়েছে। বর্তমানে দেশে করোনায় সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৩৬৩ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৮৫ হাজার বেশি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন