নিত্যনৈমিত্তিক রেলের পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করতে চায় মোদী সরকার। কিন্তু তার জেরে মধ্যবিত্তরা অল্প টাকায় যে সুবিধা পান তা কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বন্ধ করা হবে গরিব রথ এক্সপ্রেস। এতদিন অন্যান্য ট্রেনের শীতাতপ কামরায় যাত্রা করতে যে টাকা খরচ করতে হত যাত্রীদের। তার থেকে অনেকটাই কম ছিল গরিব রথ এক্সপ্রেসের ভাড়া। কিন্তু কেন বন্ধ করা হবে মধ্যবিত্তের প্রিয় এই এক্সপ্রেস?
সূত্রের খবর, বহু পুরনো ট্রেনগুলির রক্ষণাবেক্ষণে মোটা টাকা খরচ করতে চায় না রেল। তাই সেই সিদ্ধান্তে প্রথমেই বাদ পড়ল গরিব রথ এক্সপ্রেস। আগামীদিনে সমস্ত রুটে বাতিল করে দেওয়া হবে এই ট্রেন।
আরও পড়ুন: রেলে বেসরকারিকরণ নয়, তবে বেসরকারি বিনিয়োগ চান রেলমন্ত্রী
এসি ট্রেনে যাত্রা গরিব ও মধ্যবিত্তদের জন্য যাতে স্বপ্নই না থেকে যায় সেই কারণে নিম্নমধ্যবিত্ত গরিব রথ এক্সপ্রেস আনেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। ১৪ বছরের এই পুরোনো ট্রেন কে এক্সপ্রেসের তালিকা থেকে বাদ দিল বর্তমান রেল কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই গরিব রথের বদলে সেই সময়ে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো শুরু করেছে রেল। কাঠগুদাম-জম্মু ও কাঠগুদাম-কানপুর রুটে গরিব রথের বদলে চলছে এক্সপ্রেস ট্রেন। এক্ষেত্রে গরিব রথের যে ভাড়া ছিল তার থেকে বেশ কয়েকগুন বেশি এই এক্সপ্রেসের ভাড়া। যেমন, দিল্লি থেকে বান্দ্রাগামী গরিব রথের টিকিটের মূল্য ১০৫০ টাকা। সেই জায়গায় এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হলে টিকিটের দাম এক ধাক্কায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বাড়তে পারে।
উল্লেখ্য, রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছিল বিভিন্ন মহলে। সংসদের অধিবেশনে রেলওয়ে সংক্রান্ত বিতর্কে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূশ গোয়েল সাফ জানিয়ে দিয়েছে বেসরকারিকরণ নয়, ভারতীয় রেলের আধুনিকীকরণের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন।
রেলমন্ত্রীর কথায়, রেলওয়ে কখনও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে না। এই বিষয়ে কোনওরকম সংশয়ের অবকাশ নেই। কিন্তু আমরা যদি রেল-পরিষেবার উন্নয়ন চাই, তাহলে নিশ্চয় বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। নতুন নতুন প্রোজেক্ট এবং নতুন এলাকায় রেলপথ বসানোর জন্য এই বিনিয়োগের বিকল্প নেই।