Advertisment

ভাগাড় মাংসকাণ্ডে ধৃত সিপিএম নেতা, বাংলাদেশেও পাঠানো হত পচা মাংস!

ভাগাড়ের পচা মাংস কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে নদিয়া থেকে গ্রেফতার সিপিএম নেতা। পচা মাংসা পাঠানো হত বাংলাদেশেও, এমনটাই মনে করছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rotten meat

কলকাতার রেস্তোরাঁয় ফের মিলবে ভাগাড়ের মাংস। প্রতীকী ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

পচা মাংস কারবারের জাল যে অনেকটা বড়, সে ব্যাপারটি ক্রমশ বুঝতে পারছেন তদন্তকারীরা। এবার কলকাতার পাশাপাশি  নদিয়া জেলাতেও পচা মাংস কারবারের আঁচ পাওয়া গেল। শুক্রবার নদিয়ার গয়েশপুর এলাকা থেকে পচা মাংস সরবরাহে জড়িত থাকার অভিযোগে এক সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মানিক মুখোপাধ্যায় নামের ওই সিপিএম নেতা এক সময় কাউন্সিলর ছিলেন বলে জানা গেছে। ওই নেতাকে জেরা করে আরও নতুন তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisment

এদিকে গতকাল নিউটাউনের একটি খামার থেকে বেশ কিছু প্যাকেট ভর্তি মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। নিউটাউনের মতো লেকটাউনেও মিলেছে পচা মাংসের হদিশ।

আরও পড়ুন, ভাগাড়ের পচা মাংস বিক্রি: পুলিশি জালে আরও ৬, উদ্ধার ২০ টন মাংস

অন্যদিকে শুধু এ রাজ্যেই নয়, পচা মাংস বেআইনি ভাবে বিদেশেও পাঠানো হত বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পচা মাংস বাংলাদেশে পাঠানো হত।

আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: রাজ্যের প্রস্তাব মতোই ১৪ মে একদফায় ভোট, গণনা ১৭ মে

বুধবার রাতে ৪ জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। ৬ জনকে পাকড়াও করে মোট ২০ টন মাংস উদ্ধার করেছে বলে সেদিন জানিয়েছিলেন পুলিশ সুপার। কলকাতা পুলিশ ও ডায়মন্ডহারবার পুলিশের যৌথ অভিযানে ১ হাজারটি মাংসের প্যাকেট উদ্ধার হয়েছিল। প্রতিটি প্যাকেটে ২০ কেজি করে মাংস ছিল বলে জানিয়েছিলেন এসপি। উদ্ধার হওয়া মাংসে আসলে কী রাসায়নিক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন, ৬ বঙ্গসন্তানের ক্যারিশমায় লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নাম লেখাল টিভিএসের বাইক

পচা মাংস কারবার সম্পর্কে বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন যে, ভাগাড় থেকে পশুর মরা মাংস সংগ্রহ করে তা নারকেলডাঙার একটি হিমঘরে প্রসেসিং করা হত। মাংসগুলিতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিকও মেশানো হত। পরে ওই মাংসগুলি বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করত ধৃতরা। বিভিন্ন ভাগাড়ে পচা মাংস কারবারীরা নিজেদের লোক রাখত। যখনই কোনও মরা পশুর দেহ ফেলা হত সেখানে, তৎক্ষণাৎ মরা পশুর দেহ কেটে গাড়িতে করে নারকেলডাঙার হিমঘরে পাঠাত প্রক্রিয়াকরণের জন্য। এরপরই তা প্যাকেটে করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হত। এমন তথ্যই সেদিন দিয়েছিলেন পুলিশ সুপার।

আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট: মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিতে প্রার্থীর দুই ছেলেকে অপহরণ! অভিযুক্ত আরাবুল

অন্যদিকে, টাটকা মাংসের সঙ্গে পচা মাংস মিশিয়ে বিক্রি করা হত কিনা, সে ব্যাপারেও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও। বজবজের পাশাপাশি পচা মাংস কারবারে পুলিশের নজরে রয়েছে ট্যাংরা, সোদপুর, ধাপা, সোনারপুর অঞ্চলের ভাগাড়ও।

Cpm
Advertisment