AFG vs BAN 1st ODI: আফগানিস্তান এ দলের হয়ে কয়েকদিন আগেই এমার্জিং এশিয়া কাপ জিতে এসেছেন। সেই আল্লাহ গজনাফর সিনিয়র দলের হয়ে শুরুতেই ম্যাজিক ছড়ালেন। দুবাইয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন তিনি। একাই দখল করলেন ৬ উইকেট। কেকের ওপর দিয়ে ক্ষুর চালিয়ে দিলেন যেন। মাত্র ২৬ রানের বিনিময়ে এল ৬ উইকেট।
আফগানিস্তানের ২৩৫ রান চেজ করতে নেমে বাংলাদেশ একসময় ১২০/২ ছিল। তারপর গজনাফরের ঘূর্ণির কাছে থই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। একই ওভারে ৩ উইকেট তুলে ঝটকা দেওয়া গজনাফর শেষমেশ ৬ উইকেট তুলে নেন। বাংলাদেশ মাত্র ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায়। ৯২ রানের বিশাল ব্যবধানের জয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করল আফগানিস্তান।
গজনাফরের আগুন ঘূর্ণির সামনে তানজিদ হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম সকলেই উইকেট খুঁইয়ে দিয়ে আসেন। এমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও বল হাতে ভেলকি দেখিয়েছিলেন গজনাফর। দু-উইকেট নিয়ে দলকে প্ৰথমবারের মত টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন করতে সাহায্য করেন।
গত সিজনের আইপিএলে কেকেআরের স্কোয়াডে ছিলেন। আহত মুজিব উর রহমানের জায়গায় স্কোয়াডে ঢোকা গজনাফর যদিও একটিও ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি। ১৮ বছরের গজনাফর আন্তর্জাতিক অভিষেক ঘটিয়েছিলেন ১৬ বছর বয়সে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
তার আগে যুব বিশ্বকাপেও খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি বছরের শুরুর দিকেই ৩ উইকেট দখল করেছিলেন। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সময় আইসিসির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে গজনাফর বলে দিয়েছিলেন তাঁর ফেভারিট ডেলিভারি হল ক্যারম বল।
আইসিসিকে তিনি বলেছিলেন, "আমার ফেভারিট বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। উনি একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার এবং লেজেন্ড। বিশ্বের সেরা বোলার অশ্বিন কীভাবে অফস্পিনের সময় বৈচিত্রের সমাহার ঘটান, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।"
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার পর তিনি টেপ বলে পেসার হিসাবেই খেলতেন। "শুরুর দিকে একাডেমিতে ফাস্ট বোলিং অনুশীলন করতাম। এরপরে কোচ আমাকে স্পিন বোলিংয়ের জন্য পরামর্শ দেন। স্পিন বোলিংয়ের সময় কোচ উপলব্ধি করেন, আমি বেশ ভালোই করছি। ক্যারম বল, গুগলি, অফস্পিন, ব্যাক স্পিন- এর বৈচিত্র্যে উনি প্রভাবিত হয়েছিলেন। উনি বলেছিলেন, একদিন দারুণ বোলার হব। সেই স্বপ্ন পূরণ করার পথেই আমি এগিয়েছি।"
READ THE FULL ARTICLE IN ENGLISH