ব্যাটিং অর্ডারে নিচের দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি-র অভিজ্ঞতা দরকার ছিল। অবশেষে রবি শাস্ত্রী নিজের মৌনব্রত ভঙ্গ করলেন ধোনির ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পরেই কার্যত জাতীয় প্রশ্ন হয়ে উঠেছিল, পরপর উইকেট পতনের সময় চারে কিংবা পাঁচে কেন তুলে আনা হল না ধোনিকে। ঋষভ-হার্দিকদের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা কিউয়ি বোলারদের চাপের সামনেই আত্মসমর্পণ করে বসেছিল। সেই প্রশ্নেরই এবার জবাব দিলেন স্বয়ং জাতীয় দলের হেড কোচ।
শাস্ত্রী বলে দিলেন, "টিমের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধোনিকে ফিনিশার হিসেবে ম্যাচে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। ধোনি ব্যাটিং অর্ডারের আরও উপরে খেলতে এসে দ্রুত আউট হয়ে গেলে ভারত আগেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেত। ধোনি অঙ্ক কষে ম্যাচ ফিনিশ করে আসার বিষয়ে সিদ্ধহস্ত। সেই কারণেই দীনেশ-হার্দিকদের আগে পাঠিয়ে রানের ব্যবধানটা কমানোর কথা ভাবা হয়েছিল। দুভাগ্যবশত, রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে ধোনিকে। ঐ রকম একটা থ্রোয়ে কিছু করার থাকে না।"
আরও পড়ুন ধোনিকে বেনজির অপমান যুবরাজের বাবা-র! বিস্ফোরক অভিযোগ মাহির বিপক্ষে
অভিমানে টিম ইন্ডিয়াকে ‘না’ ধোনির! অবসর কি শীঘ্রই
আউট হয়ে কেঁদে ভাসালেন ধোনি! হৃদয় ভাঙল একশো কোটির, রইল ভিডিও
নিউজিল্যান্ডের সামান্য ২৪০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মেঘলা আবহাওয়ায় ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ভারত। তারপর হার্দিক, ঋষভ কিংবা দীনেশ কার্তিক কেউই পার্টনারশিপ গড়তে পারেনি। ৭ নম্বরে যখন মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাটিং করতে এসেছিলেন, সেই সময় ভারতীয় দল ৭২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল। এরপরে দলগত ৯২ রানে হার্দিক পাণ্ডিয়াও প্যাভিলিয়নে ফিরে যায়। তারপরেই জাদেজা-ধোনির সেই ১১৬ রানের কামব্যাক পার্টনারশিপ। এই জুটিতে ভর করেই টিম ইন্ডিয়া জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। তারপরেই যদিও ছন্দপতন। জাদেজা রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হয়ে যান। অন্যদিকে ধোনি ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ধোনির গুরুত্বপূর্ণ ৫০ রানও তফাত গড়ে দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১৮ রান আগেই থেমে যায় ভারতের ইনিংস।
প্রশ্ন উঠেছে, ধোনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কেন কোচ শাস্ত্রী কিংবা কোহলিকে আরও আগে ব্যাট করার প্রস্তাব দিলেন না। ফিল্ডিং করার সময়ে অন-ফিল্ড অনেক সিদ্ধান্তেই কোহলিকে প্রভাবিত করেন ধোনি। ডিআরএস নেওয়া থেকে ফিল্ডিং, বোলিং পরিবর্তন অনেক সময়েই ধোনিকে সাজাতে দেখা যায়। দলের সঙ্কটের মুহূর্তে ধোনি কেন নিজের সিদ্ধান্ত জানালেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নাকি প্রকাশ্যে! রোহিত-কোহলি দ্বন্দ্ব বেশ প্রকট। জানিয়েছেন দলের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপ বিপর্যয় ভারতীয় ক্রিকেটাররা কবে কাটিয়ে উঠতে পারেন, সেটাই আপাতত দেখার।