দূরে সরে যাক দুই দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ। চালু হোক ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আগের মত। এমনটাই চাইছেন পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। রাজনৈতিক কারণে দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে বহুদিন। কেবলমাত্র এশিয়া কাপ এবং আইসিসি ইভেন্টেই দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি হয়। ২০১২/১৩ সালের পরে এখনও দুই দল আর দ্বিপাক্ষিক সিরিজে খেলেনি। ভবিষ্যতেও দুই দেশের কোনও ক্রিকেট সূচি নেই
এমন অবস্থায় রামিজের পরামর্শ বিসিসিআই ভারত সরকারের সঙ্গে সিরিজ আয়োজন করার বিষয়ে কথাবার্তা চালাক। এহসান মানিকে সরিয়ে পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়া রামিজ বলছেন, ক্রিকেটের স্বার্থেই এমনটা করা উচিত। তাঁর বক্তব্য এতে দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকরাই বঞ্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কামিন্সকে টেনে রোহিতকে কুরুচিকর টুইট! ক্রিকেট জনতার প্রবল আক্রমণে ছিন্নভিন্ন শেওয়াগ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে রামিজ জানিয়েছেন, "রাজনৈতিক গলি থেকে বেরিয়ে বিসিসিআই বসেদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাক। এমনটাই ওঁদের কাছে প্রত্যাশা। ভুললে চলবে না, আমার ওপরেও একই ধরনের চাপ রয়েছে। এমন নয় যে পরিস্থিতি ভীষণ ভীষণ জটিল।"
"সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়াই ক্রিকেটের স্বার্থে এই ধারণা প্রমোট করার পূর্ণ স্বাধীনতা আমার রয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি এই বিষয়ে এগোতে চাই। কারণ আমার বিশ্বাস এমনটা হওয়া উচিত।"
রামিজ আরও বলেছেন, "যখনই ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে কথা বলি, স্রেফ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে কথা বলি না। ভিতরের ক্রিকেট সত্ত্বা বেরিয়ে আসে আসলে। আর ক্রিকেটার হিসাবে আমার বক্তব্য, রাজনীতি এখন ব্যাক সিটে যেতে পারে। কেন শুধু শুধু সমর্থকরা দুই দেশের ক্রিকেটীয় লড়াই উপভোগ করতে পারবে না? এই সিরিজের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট এটা বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্ট। আমাদের যে কোনও উপায়ে এটা চালু করতেই হবে।"
আরও পড়ুন: KKR-এর কাছে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া! শান্তশিষ্ট রোহিতও মেজাজ হারালেন প্রকাশ্যে, রইল ভিডিও
সামনেই আইসিসির বৈঠক রয়েছে দুবাইয়ে। সেখানে চার দেশকে নিয়ে টি২০ সুপার সিরিজের (ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড) পরিকল্পনা জানাতে পারেন রামিজ রাজা। ক্রিকেট বিশ্বে এমন পরিকল্পনা জানানোর পরেই রামিজ রাজা মিশ্র প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, 'স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক প্রোজেক্ট।'
রামিজ অবশ্য জানাচ্ছেন, "চার দলীয় টি২০ সুপার সিরিজ এই ধারণা থেকেই প্রস্তাবিত। যে কোনও উপায়ে এটা হওয়া প্রয়োজন। এখন যদি না হয়, তাহলে কবে? কারণ এখন দুই দেশের বোর্ড পরিচালনার ভার প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ওপর।"