Bangladesh Premier League: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তার মেঘ। আগামী ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মরশুম শুরু হচ্ছে। যদিও, তা নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি এবং অনিশ্চয়তা অব্যাহত।
নবগঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবের নাম ঘোষণা করেনি। শেখ সোহেল ও ইসমাইল হায়দার মল্লিকের বিদায়ের পর থেকে টুর্নামেন্ট পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি পদ শূন্য। আওয়ামি লিগ সরকারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন।
এই অবস্থায় ১৪ অক্টোবর থেকে প্লেয়ার ড্রাফট শুরু। তার কয়েক ঘণ্টা আগেও বিসিবি বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের দুটি শূন্য পদ পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। শুধু তাই নয়, অংশগ্রহণকারী সাতটি দলের নামও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগের মরশুমের তিনটি দল জানিয়েছে তারা এবার খেলবে না। চার বারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএলে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাশাপাশি, দুরন্ত ঢাকাও অংশগ্রহণে পিছিয়ে গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কর্তারা জানিয়েছেন যে তাদের বিপিএল ২০২৪-এ অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর পিছনে তারা বোর্ডের নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদকে দোষী ঠাওরেছেন।
তবে সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনের দাবি, বিসিবির নতুন সভাপতি সংশ্লিষ্ট সব দলের সঙ্গেই বৈঠক করেছেন। কিন্তু, কিছু দল নাকি অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতামানের অর্থই জমা রাখতে পারেনি। সেই জন্য ওই দলগুলোকে লিগে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিসিবি সূত্রে খবর, আসন্ন প্লেয়ার ড্রাফটে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজাকে বি গ্রেডে রাখা হয়েছে।
৪১ বছরের মুর্তজা সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেননি। জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে তাঁর রাজনৈতিক দায়িত্বে মনোনিবেশের জন্য গত বছরের বিপিএল থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। বিসিবি কর্তারা বলেছেন, তারপরও তাঁরা স্রেফ সম্মান দেখাতে মাশরাফি মুর্তজাকে বি গ্রেডে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিসিবি আরও জানিয়েছে যে প্লেয়ার্স ড্রাফটে মাশরাফির জায়গা পাওয়া নিয়ে আলোচনার পর তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে খেলোয়াড়দের বিভাগের কিছু রদবদল ঘটানো হতে পারে। এই ব্যাপারে এক বিসিবি কর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'প্লেয়ার ড্রাফটে মাশরাফির জায়গা পাওয়া নিয়ে আমরা কথা বলেছি। প্রয়োজনে বোর্ড খেলোয়াড়দের বিভাগে একটা, দুটো রদবদল করতে পারে।'
প্লেয়ার ড্রাফটে মোট ১৮৮ জন খেলোয়াড়কে ছয়টি গ্রুপে রাখা হয়েছে। এ এবং বি ক্যাটাগরিতে আছেন ১২ জন খেলোয়াড়। সি ক্যাটাগরিতে ২২ জন, ডি তে ২৮, ই তে ৫১ এবং এফ ক্যাটাগরিতে আছেন ৬৩ জন খেলোয়াড়। এ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ মূল্য ৬০ লক্ষ টাকা, বি-এর ৪০ লক্ষ, সি-এর ২৫ লক্ষ, ডি ২০ লক্ষ, ই ১৫ লক্ষ, এফ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়ের মূল্য সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা।