খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এ ঘটনায় আরও এক জামাত-উল-মুজাহিদীন-বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হলো। কেরালার মল্লাপুরম এলাকা থেকে আব্দুল মতিন নামে ওই জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরই এ রাজ্য থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল মতিন। কেরালা পুলিশের সাহায্যে মতিনকে পাকড়াও করে এসটিএফ। ধৃতকে আট দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে আনা হবে।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে আসামের বরপেটা জেলার বাসিন্দা মতিন। খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের জন্য শিমুলিয়া ও মকিমনগর মাদ্রাসায় যে ১৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম মতিন। ২০১০ সাল থেকে মতিন জেএমবি-র সঙ্গে যুক্ত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। নাসিরুদ্দিন, মৌলানা ইউসুফ, সইদুল, জাহিদুলদের পরিচিত মতিন। আজ মতিনকে আদালতে তোলা হবে। ধৃত ওই জেএমবি জঙ্গিকে নিজেদের হেফাজতে নেবে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে এ ঘটনায় আরও অনেক তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ-র হাতে ধৃত আরও ২
প্রসঙ্গত, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে এর আগেই নাম জড়িয়েছে জেএমবি-র। এ বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে রাজ্যে জেএমবি কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। ক’দিন আগেই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে হুগলি থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ধৃত হাবিবুর ও কদর গাজি খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত কওসরের শাগরেদ বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: লটারি জেতার নামে প্রতারণাচক্রে পাক যোগ! সিআইডি জালে ২
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সে বছর ওই দিন দুর্গাপুজোর অষ্টমী ছিল। পুজোর সময় রাজ্যে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ঘটনায় নিহত হয় দুজন, নদীয়া জেলার বাসিন্দা শাকিল আহমেদ ও সোভান মণ্ডল। গুরুতর জখম হয় আবদুল হাকিম। বাড়ির মালিক নুরুল হাসান চৌধুরী ছিলেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা, তবে তিনি বাড়িটি ভাড়া দিয়েছিলেন শাকিলকে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শাকিল। পরে মারা যায় সোভান। পুলিশ শাকিল ও আবদুলের স্ত্রীকে গ্রেফতার করে।
সেসময় ওই বাড়ি থেকে ৫৫টি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস, আরডিএক্স, বোমা তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম, ও সিম কার্ড উদ্ধার করেছিল পুলিশ। বিস্ফোরণের ঘটনার পরই পুলিশ ও দমকলে প্রথম খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।