New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/yg4kckh5ma36fCFnyFEv.jpg)
ইংরেজবাজারের সেন বাড়ির দুর্গাপ্রতিমা। ছবি: মধুমিতা দে।
Durga Puja 2024: গ্রামীণ বাংলার নানা প্রান্তে এমন বহু দুর্গাপুজো রয়েছে, যার নেপথ্যের নানা গল্ল আজকের দিনে সকলকেই অবাক করবে। প্রায় চারশো বছরের পুরনো এই পুজোর পিছনের অনেক কাহিনীই আজও রীতিমতো চর্চায়।
ইংরেজবাজারের সেন বাড়ির দুর্গাপ্রতিমা। ছবি: মধুমিতা দে।
Durga Puja: কথিত আছে স্বপ্নে পাওয়া দেবী দুর্গার পিতলের বাসনেই দেওয়া হয় ভোগের লুচি, পায়েস, পান্তুয়া, পিঠে, পুলি, মালপোয়া এমনকী খিচুড়ি ও সাত ধরনের সবজি। এরকম নানা ভোগের উপকরণ স্বপ্নাদেশে পাওয়া দেবী দুর্গার সেই পিতলের বাসনে সাজিয়ে তোলা হয়। মাতৃপক্ষ শুরু থেকে দশমী পর্যন্ত চলে পুরাতন মালদার বাচামারি এলাকার প্রায় ৪০০ বছর পুরনো সেন বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja)। এই সেন বাড়ির দুর্গাপুজোকে ঘিরে বহু পৌরাণিক গল্প প্রচলিত রয়েছে। দেবী দুর্গার সামনে ভক্তেরা যদি ভক্তি ভরে জল, বাতাসা নিবেদন করলেও নাকি পূরণ হয় মনস্কামনা এমনই দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। তাই দুর্গাপুজোর অন্তত একটা দিন বহু ভক্তেরা আসেন সেন বাড়ির দুর্গাপুজোয় দেবী প্রতিমা দর্শন করতে। যুগ যুগ ধরেই প্রাচীন নিয়ম মেনেই বাচামারি এলাকার সেন বাড়ির দুর্গাপুজো হয়ে আসছে।
কথিত আছে, ইংরেজবাজারের জমিদার শরৎচন্দ্র ভট্টাচার্যের জ্ঞাতিভাই ও অশ্বিনী ভট্টাচার্য সেনবাড়ির শিলার পুজারি ছিলেন। শরতকালের এক ভোরে নদীতে স্নান করতে গিয়ে তিনি দেখেন অপূর্ব এক রমণী তাদের তার চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বেশ কিছু বাসনপত্র নিয়ে রয়েছেন। সেই সময় পূজারী অশ্বিনী ভট্টাচার্য ওই রমণীকে জিজ্ঞেস করেন এত ভোরে কোথায় যাবেন। উত্তর আসে সেনদের বাড়ি যাব।
পূজারী নদীতে স্নান করে সেন বাড়ি ফিরে আসেন। জিজ্ঞেস করেন এত সকালে আপনাদের বাড়িতে কে এসেছেন । কিন্তু কারও কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি। অবশেষে সেন বাড়ির সামনের ওই নদীতেই পাওয়া যায় পেতলের থালা, গ্লাস, পান মশলা কৌটো গামলা, হাঁড়ি। যা দেবী দুর্গার স্বয়ং নিজে এসেই এগুলি দিয়ে গিয়েছেন বলেই সেন পরিবারের বিশ্বাস। আর সেই থেকেই শুরু দেবী দুর্গার পুজো।
আরও পড়ুন- Junior Doctor's Cease Work: ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা, সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি
আরও পড়ুন- Success Story: অভাবনীয় প্রতিভার বিচ্ছুরণ! জাতীয়স্তরে 'সেরার সেরা'র বাংলার মেয়ে, মুঠোয় আকাশচমুম্বী সাফল্য
যদিও প্রথমে পুজো শুরু হয়েছিলো ঘট এবং পটে পুজো দিয়ে। তার বেশ কয়েক বছর পর মূর্তি গড়ে শুরু হয় পুজো। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো নদীর ধারের পাওয়া পিতলের থালা, গ্লাস, পান মশলা কৌটো এখনো সেন বাড়িতেই অটুট রয়েছে। সেন পরিবারের সদস্য শুভেন্দু দাশগুপ্ত বলেন, "এই পুজো সেন বাড়ির নামে প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে এক নারীর মাধ্যমে এই পুজোটি ২০০ বছর ধরে দাশগুপ্ত পরিবার পরিচালনা করে আসছে। তবে প্রাচীন নিয়ম নীতি মেনেই পুজো হয় এবং অলৌকিকভাবে মহানন্দা নদীতে পাওয়া বেশ কিছু পিতলের বাসনপত্র এখনো বিরাজমান রয়েছে। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে বলি প্রথা রয়েছে। দশমীর দিন সন্ধ্যায় দেবী মূর্তির বিসর্জন দেওয়া হয়।