/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/12/3oocsK4lHFbDS1LAVDih.jpg)
Waqf Row: ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ব্যাপক গণ্ডগোল।
Protests in various districts of bengal against the Waqf Act 2025: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক জেলায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছেই। শুক্রবারেও বিভিন্ন জেলায় ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এই আন্দোলন সবচেয়ে তীব্র রূপ ধারণ করে। আন্দোলনকারীদের দাবি, সংশোধিত ওয়াকফ আইন মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে এবং তাদের সম্পত্তির ওপর সরকার অনৈতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলায় ছোট ছোট জমায়েত শুরু হয়। দুপুর নাগাদ মিছিল গড়ে ওঠে এবং কিছু কিছু স্থানে তা রূপ নেয় সহিংস বিক্ষোভে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, মালদহের ইংলিশ বাজার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও ডায়মন্ড হারবার এলাকায় বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় গাড়ি আটকে দেয়, বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন লাগিয়ে দেয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে শান্তিপূর্ণ আলোচনার চেষ্টা করে, কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে কাঁদানে গ্যাস এবং লাঠিচার্জ করা হয়। কিছু স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ৭০ জনেরও বেশি আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছে এবং প্রায় ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মুর্শিদাবাদের দিকে দিকে চলা বিক্ষোভের জেরে রেলের সম্পত্তিতে চলেছে বেপরোয়া ভাঙচুর। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ধুলিয়ান গঙ্গা এবং নিমতিতা-এর মধ্যে লেভেল ক্রসিং গেট নং ৪৩ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই এলসি গেটে বৈদ্যুতিক লিফটিং ব্যারিয়ার, স্লাইডিং বুম, প্যানেল এবং রিলে রুমও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মেরামতির কাজ করার পর গতকাল রাত ১১:৫০ মিনিটে ট্র্যাক ফিট ঘোষণা করা হয় এবং তারপরে আজিমগঞ্জ - নতুন ফারাক্কা সেকশনে গতি নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে চলাচল পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোনওভাবেই আইন নিজের হাতে নেওয়া চলবে না। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সকলের থাকলেও সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের সংগঠনের নেতারা জানান, তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত, তবে তাঁদের দাবি না মানা হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে, তার জন্য প্রশাসন ও জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আলোচনার প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।