SSC Verdict News: সুপ্রিম কোর্টের রায় চাকরি হারিয়েছেন এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারী। জেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তুলোধোনা করে ময়দানে বিরোধীরা। এবার চাকরিহারাদের প্রতি বড়সড় আশ্বাস বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
"BJP-কে আনুন, সরকার গঠনের এক মাসের মধ্যে CBI যে হার্ডডিস্ক গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করেছে, ওখান থেকে OMR বের করে যোগ্যদের তালিকা করে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব। সেখানে গিয়ে বলব হুজুর এরা যোগ্য, এদের চাকরি আপনি ফিরিয়ে দিন। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যারা যোগ্য যাদের হাতে ওএমআর-এর নম্বর আছে তারা যদি ব্যক্তিগতভাবেও সুপ্রিম কোর্টে যায় তাঁদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি। আইনজীবীদের ফিস দেওয়া হবে। এই ফি আমরা বিজেপি বিধায়করা আমাদের বেতন থেকে দিয়ে দেব।"
SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment scam) নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি রাজ্যজুড়ে। শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় চাকরিহারাদের বিক্ষোভে রীতিমতো তুলকালাম পরিস্থিতি দিকে দিকে। জেলায় জেলায় DI অফিসে বিক্ষোভ চাকরিহারাদের। পরিস্থিতি সামলাতে একাধিক জায়গায় নাজেহাল দশা হচ্ছে পুলিশকর্মীদের।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: চাকরি চেয়ে জুটল পুলিশের লাঠিপেটা! 'অফিসে তালা লাগাতে গিয়েছিলেন কেন?' চাকরিহারাদের প্রশ্ন ব্রাত্যর
বুধবার খাস কলকাতার কসবায় DI অফিসে চাকরিহারাদের বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ডিআই অফিসের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন চাকরিহারারা। প্রবল বিক্ষোভ সামাল দিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের বেপরোয়া লাঠির ঘায়ে বেশ কয়েকজন চাকরিহারা আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, উন্মত্ত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতেই বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে এদিন দুপুরে লালবাজার অভিযান করেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানেও রীতিমতো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, শঙ্কর ঘোষদের কার্যত টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে করে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন- WAQF Amendment Law: 'দিদি আপনাদের সম্পত্তি রক্ষা করবে', ওয়াকফ আইন ইস্যুতে মুসলিমদের বার্তা মমতার
এদিকে পরে কসবা-কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, "ওঁরাই (চাকরিহারা) আমাদের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছেন, আমরাও ওদের পাশে আছি। এমন ধ্বংসাত্মক আন্দোলন কেন? ডিআই অফিসে কেন গিয়েছিলেন চাকরিহারারা? আন্দোলনের জন্য অনেক সময় পড়ে আছে। যোগ্য বঞ্চিতদের পাশে আছে রাজ্য সরকারও। ধৈর্য্য রাখা উচিত চাকরিহারাদের। রাজ্য সরকার পাশে থাকার পরেও কেন আন্দোলন? কোনও রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় আন্দোলন? কেন ডিআই অফিসে তালা লাগাতে গিয়েছিলেন চাকরিহারারা? ওঁরা আন্দোলন করলেও আমরা আইনি পথেই থাকব। আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে রায়ের ব্যাখ্যা চেয়েছি। আমরা রিভিউ পিটিশনও দেব। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। একটা প্ররোচনা থাকবেই। ওঁদেরই বুঝতে হবে কারা ওদের সঙ্গে আছে। তুমি ওঝা-রূপী সাপকে বিশ্বাস করবে নাকি সরকারকে বিশ্বাস করবে... সেটা তোমার ব্যাপার।"
আরও পড়ুন- SSC Recruitment Case: চাকরিহারাদের উপর্যুপরি বিক্ষোভে উত্তাল বাংলা! শহর থেকে জেলা, অশান্তি সর্বত্র