Advertisment

করোনা মোকাবিলায় ত্রাতার ভূমিকায় রোনাল্ডো, মেসি, গারডিওলা

রোনাল্ডো দান করেছেন ১০ টি বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প এবং সিরিঞ্জ। লিও মেসি এবং গারডিওলা মাথাপিছু ১ মিলিয়ন ইউরো দান করেছেন

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ronaldo messi coronavirus

লিও মেসি, পেপ গারডিওলা, রোনাল্ডো

করোনা-সঙ্কটে পর্তুগালের চিকিৎসা-পরিষেবাকে মজবুত করতে এগিয়ে এলেন সে দেশের ফুটবল মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। লিসবনের সান্টা মারিয়া হাসপাতালে রোনাল্ডো এবং তাঁর ফুটবল এজেন্ট জর্জ মেন্ডেজ ১০ টি বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প এবং সিরিঞ্জ দান করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।

Advertisment

অন্যদিকে, অর্থসাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছেন আর্জেন্টিনা তথা বার্সেলোনার মহাতারকা লিওনেল মেসি এবং ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার পেপ গারডিওলা। দুজনেই করোনা মোকাবিলায় ১ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৮ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা) করে দান করেছেন। মেসি'র দান করা অর্থ বার্সেলোনার হসপিটাল ক্লিনিক এবং তাঁর দেশের আরও একটি চিকিৎসা কেন্দ্রের মধ্যে ভাগাভাগি করা হবে। অন্যদিকে বার্সেলোনার প্রাক্তন সদস্য গারডিওলা'র সাহায্য পেয়েছে এঞ্জেল সোলের ড্যানিয়েল ফাউন্ডেশন এবং বার্সেলোনা মেডিক্যাল কলেজ।

আরও পড়ুন: করোনা-বিরোধী প্রচারে ফিফার টিমে মেসির পাশাপাশি সুনীল ছেত্রীও

পর্তুগালে এখনও পর্যন্ত ২,৩৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। সংখ্যাটা যদিও ইউরোপের অন্য দুটি দেশ স্পেন এবং ইতালির তুলনায় অনেকটাই কম, তবু পর্তুগালের চিকিৎসা-কাঠামোয় ইতিমধ্যেই চাপ পড়তে শুরু করেছে। সেই চাপ কিছুটা লাঘব করতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন সি.আর সেভেন।

শুধু লিসবনের হাসপাতালেই নয়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পোর্টোতেও সান্টা আন্টেনিও হাসপাতালে রোনাল্ডো ও মেন্ডেজ ১৫ টি ‘ইন্সেনটিভ কেয়ার’ বেড দান করেছেন। এছাড়াও দিয়েছেন ভেন্টিলেটর ও মনিটর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এক বিবৃতিতে পাওলো বারবোসা জানিয়েছেন, "রোনাল্ডো এবং মেন্ডেজকে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য অকুন্ঠ ধন্যবাদ জানাই। এই সময় সবার একে অন্যের পাশে থাকা দরকার।"

আরও পড়ুন: সরকার চাইলে ইডেনে হবে অস্থায়ী ‘কোয়ারান্টাইন সেন্টার’: সৌরভ

এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্টা বলেছেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখন ১১৪২ টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে রয়েছে ২৫০ টি। সঙ্কট সামলাতে পর্তুগাল সরকার ৫০০ টি ভেন্টিলেটর এবং ৪০ লক্ষ মাস্ক চিনের থেকে কিনেছে।

অন্যদিকে ইউরোপে ইতালি বাদে করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে স্পেনের ওপর, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার, মৃতের সংখ্যা ২,৬৯৬। স্পেনের কাতালোনিয়া অঞ্চল, যেখানকার বাসিন্দা গারডিওলা এবং যেখানে লিও বসবাস করছেন ১৩ বছর বয়স থেকে, স্পেনের সবেচেয়ে প্রভাবিত অঞ্চলগুলির একটি।

coronavirus Cristiano Ronaldo Lionel Messi
Advertisment