Malda Durga Puja 2024: এ যেন অবিকল এক পুরোনো দিনের বিয়ে বাড়ির আসর। দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ঢুকলেই দেখা যাবে একদল বাদ্যকর বাজাচ্ছেন সানাই। অতিথি আপ্যায়নের জন্য পাত্রীর বাড়ির অভিভাবকেরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন গেটের সামনে। ছাদনা তলায় বিয়ে হচ্ছে বর এবং কনের। আরেক দিকে চলছে বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ ভোজ খাওয়ার পালা। কাল্পনিক সুধারানীর বিয়ের নামকরণ দিয়েই এবার ইংরেজবাজার শহরের মহিলা পরিচালিত কুটটিটলা সহযোগিতা ক্লাব বিয়ে বাড়ির থিম গড়েই রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। এবার এই পুজোর ৫২তম বর্ষ। মূলত ওই এলাকার মহিলারাই বিভিন্ন থিমের পরিকল্পনা গ্রহণ করে দুর্গাপুজোটি পরিচালনা করে থাকেন। পাড়ার পুরুষেরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন।
রকমারি আলোকসজ্জা থাকলেও বিয়ে বাড়ির এই থিমে মানুষের রীতিমতো দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পুরো পুজোমণ্ডপটি গড়ে তোলা হয়েছে আস্ত একটি পুরনো আমলের বিয়েবাড়ির আদলে। পুজোমণ্ডপের এক পাশে রয়েছে বর ও কনের বিয়ে দিচ্ছেন পুরোহিত। দাঁড়িয়ে রয়েছেন আত্মীয়েরা। সবটাই মডেল আকৃতিতে। বিয়ের কার্ড আকৃতির মধ্যে রয়েছে দেবী দুর্গা। ঢোল, সানাই নিয়ে পুজো মণ্ডপের মেন গেটের সামনেই চলছে বাজানোর পর্ব। সেটি আবার শোনানো হচ্ছে মাইকে। অভিনব এমন পরিকল্পনায় সহযোগিতা ক্লাবের কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।
সহযোগিতা ক্লাবের এক সদস্যা কৃষ্ণা সাহা বলেন, "৮০ থেকে ৯০ দশকের মধ্যে বিয়ে বাড়িগুলি যেমন প্রচলন ছিল, সেগুলি মডেলের মাধ্যমেই তুলে ধরা হয়েছে। যেমন ধরুন কলাপাতায় আমন্ত্রিতদের খেতে দেওয়া। মাটির ভারে জল দেওয়া। সেই সময় ক্যাটারার ছিল না পাড়ার ছেলেরা পরিবেশন করতেন, সেগুলিও মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। আস্ত একটি বিয়ের মন্ডপ ছাদনাতলা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানেই বর ও কনের বিয়ে হচ্ছে। এমনই বিয়ে বাড়ির থিম গড়েই এবারেই সংশ্লিষ্ট ক্লাবের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। অন্যদিকে এবারে ইংরেজবাজার শহরের রবীন্দ্র সংঘর পুজোর মন্ডপে আসলেই দেখা যাবে ভারতের শক্তি নামক থিম। যেখানে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের বেশ কিছু দৃশ্য মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন- Durga Puja 2024: পুজোর উদ্বোধনে বেনজির উদ্যোগ! অজ-গাঁয়ের এই দুর্গাপুজো সূচনার গল্পটা অবাক করবেই
এছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনীর জল, স্থল এবং আকাশ পথের বেশ কিছু সামরিক শক্তিও মডেল আকৃতিতে তুলে ধরা হবে। রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন এই রবীন্দ্র সংঘের এবারে ৩৫ তম বর্ষ। ভারতীয় বায়ুসেনা , নৌ-বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর শক্তি প্রদর্শনেরই থিম এবার মূলত দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়িয়েছে । রবীন্দ্র সংঘ ক্লাবের সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, "ভারতীয় সেনাবাহিনীর যে পাওয়ার রয়েছে, সেটাই আমরা দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরেছি। সাবেকি ধাঁচে দেবী দুর্গা সেনাবাহিনীদের সঙ্গেই অশুভ শক্তি বিনাশের ক্ষেত্রে পুজো মন্ডপের বিরাজ করছেন। চন্দননগরের আলোকসজ্জা গোটা এলাকায় বসানো হয়েছে।"